আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা সবার কাছে আইএলও নামে পরিচিত, এর উদ্যোগে ১১১তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইজারল্যান্ড সফর সম্পন্ন করেন। বেশ বড় পরিসরে আয়োজিত এ সম্মেলনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল। এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন তারাও যুক্ত হন। এই শীর্ষ বৈঠকটি নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক শ্রম পরিস্থিতি, বিশেষ করে ‘সকলের জন্য ন্যায়বিচারের’ ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করবে। ন্যায়বিচারের ধারণা থেকে বিবেচনা করলে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সম্মেলনে যোগদান প্রমাণ করে বাংলাদেশের কাছে ন্যায়বিচার ও শ্রম অধিকারের গুরুত্ব।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জেনেভায় শুধু এই শীর্ষ সম্মেলনেই অংশগ্রহণ করেছেন এমন নয়, তিনি এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফ্লিপ্পো গ্র্যান্ডি হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আইএলওর মহাপরিচালক কর্তৃক আয়োজিত এক ভোজসভায় শীর্ষস্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ দেন। তিনি ১৫ জুন ‘এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ’-এ যোগ দেন এবং এরপর ডব্লিউইএফ অফিসে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে নতুন অর্থনীতি ও সমাজ’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সরঞ্জামগুলো আমাদের মানবতাকে আঘাত বা দুর্বল করার জন্য ব্যবহার করা হবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ওকনজো-ইওয়ালা সন্ধ্যায় হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন। এসবের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপেও তিনি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সংগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামাজিক ন্যায়বিচারের অগ্রগতির জন্য সম্পদ বরাদ্দের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পারি।’ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালাইস ডি নেশনসে ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’-এর প্লেনারি অধিবেশনে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সংগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় আমাদের অবশ্যই সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, গ্লোবাল কোয়ালিশনের সূচনার মাধ্যমে এই শীর্ষ সম্মেলন এসডিজিসহ সব আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। তার প্রাথমিক পরামর্শে, তিনি জোটকে নিয়ম প্রতিষ্ঠা বা আলোচনা পরিচালনার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার পরিবর্তে একটি পরামর্শদাতা বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করার পরামর্শ দেন। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আন্তর্জাতিক মহলের ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’কে অন্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা থেকে জোটকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। তৃতীয়ত, জোটকে নিশ্চিত করতে হবে যে সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরিবর্তে সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি নিয়মভিত্তিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থার অধীনে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। চতুর্থ দফা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোটের মধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) অংশীদারদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তার পরামর্শের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (আইএফআই) উপযুক্ত কাজ এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের প্রচারে সম্পৃক্ত করা। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যুবসমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার দিকে জোটের মনোযোগ দিতে হবে। বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য একটি নতুন সামাজিক চুক্তি প্রণয়ন করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই হবে এই সামাজিক চুক্তির মূল লক্ষ্য।
শ্রম অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত ১০টি মৌলিক আইএলও কনভেনশনের মধ্যে আটটিতে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা-সম্পর্কিত দুটি নতুন মৌলিক আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি।’ তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে কিছু উন্নত দেশ যারা শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার, তারা নিজেরাই বেশির ভাগ মৌলিক আইএলও কনভেনশন অনুমোদন করেনি। উদাহরণস্বরূপ, একটি বড় শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ স্বাক্ষর করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে তার সরকার আটটি বিপজ্জনক খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে অনানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা দিয়ে পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমি চাই দেশ শিশুশ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনে নারী শ্রমিকদের জন্য চার মাসের বেতনসহ ছুটি ও মাতৃত্বকালীন সুবিধার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম শিল্প এলাকায় ১ হাজার ৫৩০ জন কর্মজীবী নারীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ৪৩০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা শিল্প ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বা হয়রানির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ থাকার আহ্বান জানিয়েছি।” তার মতে, ‘সম্প্রতি আমি আমাদের জাতীয় জিডিপিতে নারীদের অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজকে অন্তর্ভুক্ত করার উপায় অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর তত্ত্বাবধানে শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তা পান।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রূপকল্প-২০৪১-এর সঙ্গে সংগতি রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৯২ লাখ মার্কিন ডলারের বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে উন্নত প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। দেশের সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সারকে মূলধারার অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে নিবন্ধিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বর্তমান ১৭ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের তরুণদের প্রস্তুত করতে আমরা সমুদ্র গবেষণা, অ্যারোনটিকস, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি এবং ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির জন্য বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট স্থাপন করছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করেছি, আমার একমাত্র লক্ষ্য তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।’
এই সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী যেমন শ্রমবিষয়ক বৈশ্বিক সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানও ব্যক্ত করেন, বিশেষ করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে আরও সুদৃঢ়। প্রকাশ পাবে এসব কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশের বিস্তর ভূমিকা। আইএলওর মতে, এই প্ল্যাটফর্মটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা শ্রমবিষয়ক বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী ও অন্যান্য ধারণা নিয়ে এক গভীর আলোচনার সুযোগ প্রদান করবে এই শীর্ষ সম্মেলন। একটি সমন্বিত রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রকাশের সুযোগ এই প্ল্যাটফর্ম, যেহেতু অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা বা তাদের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি অন্য যে বহুজাতিক ফোরামগুলো আছে তাদের ভাবনাও প্রকাশ পাবে এর মাধ্যমে। ফলে বলাই যায় যে এই ধরনের শীর্ষ সম্মেলন সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসবে, এর প্রয়োজনীয়তা নতুনভাবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপিত করবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য যে ধরনের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন, তারও এক প্রতিফলন দেখা যাবে।
বিশ্বের সামগ্রিক বৈষম্যের চিত্র মাথায় রেখে আমরা বলতে পারি, আইএলও কর্তৃক আয়োজিত যে সম্মেলনটি হচ্ছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ এসব বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ, নেতৃত্ব ইত্যাদি শুধু বাংলাদেশের ভেতরে না, বরং বৈশ্বিক পর্যায়ে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে ব্যক্ত করে। বিলিয়নিয়রের সংখ্যা বৃদ্ধি ও মাথাপিছু কার্বন ব্যবহারের মাত্রার যে তারতম্য তা ইঙ্গিত করে বৈশ্বিক দক্ষিণ ও উত্তরের মধ্যকার বিভাজনকে। ধনী রাষ্ট্রগুলোর ভোগের মাত্রা ও পরিমাণ তাই অবাক করে বাকিদের। পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের জন্য সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে না বললেই চলে, যাও হচ্ছে তা অতি নগণ্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বৈশ্বিক উত্তরের বেশ কিছু দেশের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থাও অনুপস্থিত ধনী রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে কোটি কোটি মানুষ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে না, তাদের জন্য কার্যকর পদক্ষেপেরও বড় অভাব। বরং ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৃহৎ শক্তিগুলোর মাঝে অবিশ্বাস-অনাস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা যায় যে, বিশ্বশক্তিগুলোর তৎপরতা বরং প্রকাশ করে তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলোয় সামাজিক ন্যায়বিচারের অভাব। তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাষ্ট্রগুলো এক বৈষম্য, শোষণমূলক ও বিবর্তনমূলক বিশ্বব্যবস্থার অংশ। এই ব্যবস্থাকে যদি গণতান্ত্রিক না করা হয়, ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠা না করা হয়, এই বঞ্চনা-নিপীড়ন বৃদ্ধি পাবে যতই আইএলও বা অন্য কোনো বৃহৎ সংস্থা কর্তৃক এই ধরনের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজিত হোক না কেন।
– ড. দেলোয়ার হোসেন: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; প্রেষণে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োজিত।
প্রকাশিত দৈনিক বাংলা [লিংক]