রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ সারা বিশ্বের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে অনুন্নত ও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব অনুভূত হচ্ছে।
গত শনিবার দ্য কেআরএফ সেন্টার ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের (সিবিজিএ) উদ্যোগে ঢাকায় সিবিজিএর কনফারেন্স রুমে ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সিবিজিএর চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানিসংকট সৃষ্টির মাধ্যমে এক চরম অনিশ্চিত পরিস্থিতির সূচনা করেছে। আর এই যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার মূলত তৃতীয় বিশ্ব।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক (অব.) এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক দিক থেকে যুদ্ধটি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এর ভয়াবহতা ও বহুমাত্রিক প্রভাব সমগ্র বিশ্বের ওপর পড়ছে। বিশেষভাবে অনুন্নত ও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি প্রভাবিত হচ্ছে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে বিবদমান সব পক্ষই দায়ী। যুদ্ধরত পক্ষগুলোর অনমনীয়তার কারণে বিশ্ব আজ মহাসংকটে। এই সংকট যতটা না উন্নত বিশ্বকে আক্রমণ করছে, তারচেয়ে বহুগুণে উন্নয়নশীল দেশসমূহ ও তাদের জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যুদ্ধের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এই যুদ্ধের পরিণতি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের একাধিক প্রজন্মকে বহন করতে হবে।’
প্রকাশিত দৈনিক বাংলা [লিংক]