২০১৭ সালে গণহত্যা সংঘটিত করে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং তারা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। ফলে বাংলাদেশে আগে থেকে অবস্থান করা শরণার্থীর সঙ্গে এ বিপুলসংখ্যক যোগ হয়ে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সে সময় মিয়ানমারের আধা সামরিক আধা বেসামরিক সরকারের সৃষ্ট এই রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং নির্যাতন ভয়াবহ পরিস্থতির সৃষ্টি করে। মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা শুরু হয় মূলত ১৯৭৮ সাল থেকে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও শরণার্থী সমস্যা নিরসনে মিয়ানমার সরকারের ভূমিকা সব সময়ই নেতিবাচক ছিল।
১৯৬২ সাল থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তাদের শাসন জারি ছিল। একটানা পঞ্চান্ন বছর ধরে সেখানে সামরিক শাসন বলবৎ ছিল। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সে নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি বিজয় লাভ করে। কিন্তু সামরিক জান্তারা সে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এবং অং সান সু চিকে গৃহে অন্তরীণ করে রাখে। প্রায় ২০ বছর ধরে গৃহে অন্তরীণ ও কারাবাসের পর তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং মিয়ানমারে আংশিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। তবে সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২০২১ সালে মিয়ানমার তার আগের চেহারায় ফেরত আসে এবং এনএলডি ও সামরিক শাসকদের ক্ষমতা ভাগাভাগির অবসান ঘটিয়ে পুরো সামরিক শাসনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। অং সান সু চিকে বন্দি করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে সামরিক শাসক বহু মামলা দায়ের করে। সেই সব মামলার বেশ কিছুটার রায়ে তিনি এখনো বন্দি আছেন। এ ছাড়া এনএলডিসহ বিভিন্ন সামরিক শাসনের বিপক্ষের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন এখনো অব্যাহত আছে। যে নির্বাচনকে কারচুপির অভিযোগে সামরিক শাসকেরা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সেই নির্বাচন তাদেরই তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নিজেদের তদারকিতে সম্পন্ন নির্বাচনকেই প্রত্যাখ্যান করার মধ্য দিয়ে তারা প্রকারান্তরে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করেছে। ফলে মিয়ানমারে একটি নজিরবিহীন রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক শাসক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি হলেও এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়নি। উল্টো তারা দেশটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন সামরিক সংঘাত সৃষ্টি করে সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
পাশাপাশি, সামরিক জান্তার স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতা দেশটির নাগরিকেরাও ইতিবাচকভাবে নেয়নি। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেখানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই প্রতিবাদী মানুষ বাইরে নেমে আসে। প্রতিবাদকারীদের হত্যা, দমন-পীড়নের পরও তাদের আন্দোলন থেমে নেই। মিয়ানমারের নানা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সেখানকার সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘুদের ওপর হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, সহিংসতা ও নিপীড়ন চালিয়েছে। আমরা জানি, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানকার সামরিক শাসকরা প্রায় ১০-১২টি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত আছে। কিন্তু সম্প্রতি সেটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এক সময়কার আরাকান বলে পরিচিত রাখাইন রাজ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার সঙ্গে মুহুর্মুহু সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। অবশ্য মিয়ানমারের অন্যান্য সীমান্তেও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হচ্ছে। চীনের সঙ্গে বা থাইল্যান্ডের সঙ্গে কিংবা ভারতের সঙ্গে সীমান্তে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ চললেও আরসার সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে যুদ্ধ এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
মিয়ানমারের যে নিন্দিত, বেপরোয়া ও উসকানিমূলক আচরণ সীমান্তে দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাস্তবতাও জড়িত। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর মিয়ানমার জান্তা দেশের ভেতরেই রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে বেশ চাপে রয়েছে, যার সর্বশেষ সংস্করণ আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘাত। সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, জান্তা সরকার ১৭ শতাংশ ভূমিতে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এনইউজি তথা মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ ৫২ শতাংশ অঞ্চলে। বাকি অংশের আধিপত্য নিয়ে চলছে সংঘাত। রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধ তারই অংশ। এসব যুদ্ধে জান্তা সরকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এর জের ধরে এক ধরনের নাজুক রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে। তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যা-ই থাক; সীমান্ত লঙ্ঘন হওয়া অথবা সীমান্তের ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই মিয়ানমার জান্তাবাহিনীর।
সীমান্ত পরিস্থিতি হয়তো কখনো কখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। কিন্তু মিয়ানমারের ক্ষেত্রে তা যেভাবে নিয়মিতভাবে ঘটছে, সেটাই প্রমাণ করছে, দেশটির সামরিক বাহিনী কতটা বেপরোয়া। যদিও তারা ভেতরে-বাইরে উভয় দিক থেকেই চাপের মধ্যে রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে; রোহিঙ্গা গণহত্যার কারণে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে শুরু করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপে রয়েছে; গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান। বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত সংঘাত ছাড়াও সামরিক শাসনের বাইরে মিয়ানমারের যে ঐক্য সরকার গঠিত হয়েছে, সে ঐক্য সরকারও দেশের মানুষ এবং বাইরের সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলছে এবং সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এত চাপের মধ্যেও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বেপরোয়া মনোভাবের পেছনে চীন ও রাশিয়ার সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাইওয়ান সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের সীমান্তে এখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আরসার সঙ্গে যে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, তার বড় ধরনের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে। তারা বারবার বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সীমানা লঙ্ঘন করেছে। এ পর্যন্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে জবাবদিহির জন্য চারবার তলব করা হয়েছে। কিন্তু এখানে মূল বিষয়টি হলো, মিয়ানমারের সামরিক শাসক দেশের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক সংকটের পাশাপাশি সামরিক সংকট সৃষ্টি করেছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটাচ্ছে, গণহত্যার মতো যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করতেও পিছপা হচ্ছে না। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। সম্প্রতি তারা একটি স্কুলে আক্রমণ চালিয়ে ১১ জন শিশুকে হত্যা করেছে। জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃত্ব এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করলেও সামরিক জান্তার উন্মত্ততা হ্রাস না পেয়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে।
এখানে আরসার সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের সংঘর্ষের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর আরসার সামরিক সক্ষমতাও বেশ কার্যকর। আরসার সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর শতাধিক সদস্য নিহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন সামরিক স্থাপনা হাতছাড়া হয়েছে। ফলে আরসার সঙ্গে সংঘর্ষে মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে।
পাশাপাশি, এই সংঘর্ষের বিষয়টি আরেকটি কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আগামী বছর একটি বৈধতার নির্বাচনের ছক কষছে বলে আমরা জানি। ওই নির্বাচনে রাখাইন রাজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই বস্তুত আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
মিয়ানমার তার সীমান্তে যে তীব্র সংঘাত সৃষ্টি করে চলেছে এবং রোহিঙ্গা সংকটকে জিইয়ে রাখার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, তা এই গোটা অঞ্চলকে একটি বড় হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা এ অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য বৃহৎ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। মিয়ানমারের সীমান্তে সংঘাত সৃষ্টি করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টির অপতৎপরতার বিপরীতে বাংলাদেশ এখনো শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি মিয়ানমারের সামরিক উসকানিকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মোকাবিলা না করতাম, তা হলে এ অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হতো। মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা তাদের শাসনপ্রক্রিয়াকে বৈধতা লাভ করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশকে উসকানি দিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাইছে।
পাশাপাশি, এবার তাদের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট নেশনস বা আসিয়ানের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ানের কয়েকটি দেশ সহানুভূতি প্রকাশ করলেও সংস্থা হিসেবে সেটি মিয়ানমারের পক্ষেই ছিল। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক সংকট সৃষ্টি হলে আসিয়ান মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু দেশটির সামরিক শাসক সেই চাপকে অগ্রাহ্য করে চলেছে। ফলে এখন তারা নতুন করে যে সীমান্ত সংঘাত সৃষ্টি করছে, সেটাকে শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্যা বলে বিবেচনা করার অবকাশ নেই। এটা প্রকৃত অর্থেই একটা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা বলে প্রতীয়মান হওয়া দরকার।
এখানে বাংলাদেশ মিয়ানমারের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে যেভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে, সেটা খুবই ইতিবাচক। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আসিয়ান দেশভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলাপ করেছে। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। এখানে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে সীমান্ত সংঘাতের বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলার তৎপরতার পরিধি বৃদ্ধি সাপেক্ষে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটা খুবই ইতিবাচক। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো দেশগুলো আগে থেকেই মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরব রয়েছে এবং বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে, তবে সেগুলো যথেষ্ট নয়। কিন্তু এসব রাষ্ট্রের মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বলে মনে করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে আসিয়ান অধিভুক্ত দেশগুলো এখন যেমন মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে, তেমনি চীন এবং ভারতকে এ রকম ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। আমরা জানি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে এই দুটি রাষ্ট্র সমর্থন প্রদান করেছিল। এখনো যদি তারা সমর্থন অব্যাহত রাখে, তা হলে এ অঞ্চলকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এমনকি এই দুটি দেশের যে বিশাল বিনিয়োগ মিয়ানমারে রয়েছে, যে কানেক্টিভিটির পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেটাও ব্যাহত হতে পারে। বাংলাদেশ তাই বহু আগেই বলে আসছে, মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তসংঘাত শুধু দুটি দেশের বিষয় নয়, এটি একটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়। ফলে এখনই দরকার জাতিসংঘে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করার অপতৎপরতা বন্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করা। তা না হলে এখানকার আঞ্চলিক শান্তি বিপন্নতার হুমকিতে পড়তে বাধ্য হবে।
– ড. দেলোয়ার হোসেন : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।