২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নবদিগন্তের সূচনা ঘটিয়েছিলেন। সেসময়ে শেখ হাসিনা এবং মনমোহন সিংয়ের মধ্যে যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, তখন গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে একটি নতুন ধারা তৈরি হয়েছিল। সেই ধারা ২০০১ সালে ব্যাহত হয়েছিল এবং সম্পর্কের ধারা উলটোদিকে প্রবাহিত হয়েছিল। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একধরনের আস্থার ঘাটতি ছিল।
২০১০ সালের শীর্ষ বৈঠকটির মাধ্যমে সেই অনাস্থার সমাপ্তি ঘটে এবং একবিংশ শতাব্দীর নতুন বাস্তবতায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন ভিত্তি রচনার রোডম্যাপ তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই রোডম্যাপ ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক রূপ লাভ করেছিল। একসময় যে সম্পর্ককে শুধু কিছু অর্থনৈতিক সূচক, পানিবণ্টন সম্পর্কিত ও কূটনৈতিক বিবেচনায় দেখা হতো, সেই সম্পর্ক অর্থনীতি ও কূটনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে নিরাপত্তা, জ্বালানি সহযোগিতা, কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বহুমাত্রিক সম্পর্কে রূপ নিয়েছে। একদিকে যেমন এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যোগাযোগের ক্ষেত্রগুলোয় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে।
[বিস্তারিত পড়ুন]