Bangabandhu’s Diplomatic Thought Is the Foundation of Bangladesh Foreign Policy

419

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কূটনীতি। আধুনিক বিশ্বে একটি জাতি বিনির্মাণ, একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি ও বিকাশের পেছনে রয়েছে কূটনীতির অসাধারণ ভূমিকা। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিল। স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক, দার্শনিক ও মতাদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক বিশ্লেষণ ও গবেষণা হলেও বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ততটা গবেষণা হয়নি। অনস্বীকার্যভাবে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক চিন্তাধারা ছিল গভীর, অনন্য ও অসাধারণ। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ (২০২০) একটি অসামান্য দলিল। বঙ্গবন্ধু রচিত অন্য দুটি গ্রন্থে অসমাপ্ত আত্মজীবনী (২০১২) ও কারাগারের রোজনামচায় (২০১৭) বঙ্গবন্ধুর বিশ্বদর্শন ও পররাষ্ট্র চিন্তার দুর্লভ প্রমাণ রয়েছে। এগুলো গবেষকদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রচলিত অর্থে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা, সাক্ষাৎকার, বিবৃতি, সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে নানাবিধ সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনা বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক চিন্তাধারার অন্যতম উৎস হিসাবে বিবেচিত।

বলাবাহুল্য, বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক চিন্তাধারাই স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলভিত্তি রচনা করেছে। ১৯৭১ সারের ২৬ মার্চ হানাদার পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক গ্রেফতার ও পরে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির মিয়ানওয়ালি কারাগারে অন্তরিন অবস্থা থেকে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মুক্তিলাভের পর থেকে প্রতিটি মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু গভীর কূটনৈতিক চিন্তাধারার প্রতিফলন তুলে ধরেন। ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালেই বঙ্গবন্ধু বিস্ময়করভাবে এক মহান কূটনীতিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাপ্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তিলাভের পর লন্ডনে যাত্রাবিরতি করে দিল্লি বিমানবন্দরে ভারতীয় সরকার ও জনগণ কর্তৃক সংবর্ধনা গ্রহণ করে লাখ লাখ অপেক্ষমাণ বাঙালির মাঝে আবহমান বাংলার মাটিতে পদার্পণের যাত্রাকালটি একটি দুর্লভ আন্তর্জাতিক ঘটনা, যা সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতির জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। [বিস্তারিত পড়ুন যুগান্তর থেকে]